বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতে মাংস রপ্তানির ম্যানুয়াল থেকে ‘হালাল’ শব্দ বাদ  

  •    
  • ৫ জানুয়ারি, ২০২১ ১৩:৫৬

হিন্দুত্ববাদী ও শিখদের কিছু সংগঠন দাবি করে আসছিল ‘হালাল’ শব্দের কারণে মুসলিম রপ্তানিকারকরা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন। তবে এপেডা জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পেছনে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।

মাংস রপ্তানির ম্যানুয়াল থেকে ‘হালাল’ শব্দ বাদ দিয়েছে ভারতের কৃষিজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রপ্তানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এপেডা)।

হিন্দুত্ববাদী ও শিখদের কিছু সংগঠন দাবি করে আসছিল ‘হালাল’ শব্দের কারণে মুসলিম রপ্তানিকারকরা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন। তবে এপেডা জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পেছনে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও ভূমিকা নেই।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ‘হালাল’ পদ্ধতিতে জবাই করা পশুর মাংস ছাড়া খান না। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর অভিযোগ, এপেডার ম্যানুয়াল অনুযায়ী হালাল শব্দ ব্যবহারের কারণে আমদানিকারীদের শুধু হালাল সার্টিফিকেট পাওয়া মাংস কিনতেন। কিন্তু যারা ঝটকা পদ্ধতিতে পশু জবাই করেন তাদের ব্যবসা মার খাচ্ছে। তারা সুবিধা পাচ্ছেন না।

আরবিতে হালাল শব্দের অর্থ অনুমোদিত, হালাল ফুড মানে যা শরিয়া আইন সম্মত। শরিয়া আইন অনুযায়ী, জবাইয়ের সময় পশুকে জীবন্ত হতে হবে, শরীর থেকে সব রক্ত বেরিয়ে যেতে হবে। অন্যদিকে ঝটকায় এক কোপে পশুর মাথা ধড় থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়, তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হয় পশুর। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) এই ব্যবসাকে ‘হালালোনমিক্স’ তকমা দিয়েছে।

ভিএইচপির বিনোদ বনশল বলেন, ‘এই হালালোনমিক্স দেশে বন্ধ হওয়া উচিত। দেশের অর্থনীতিকে কবজা করে রেখেছে। হালাল শব্দটি সব জায়গা থেকে তুলে দেওয়া উচিত। আর হালাল থাকলে ঝটকাও থাকতে হবে।’

কিছুদিন আগে হালাল মাংস নিয়ে বিতর্কে তৈরি হয় বিজেপি শাসিত দক্ষিণ দিল্লি পৌরসভার একটি নির্দেশিকায়। এতে বলা হয়, রেস্তরাঁ ও মাংসের দোকানগুলিকে জানাতে হবে তারা হালাল না ঝটকা মাংস বিক্রি করছে। কারণ এ নিয়ে বহু অভিযোগ জমা পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে ধর্মীয় বিদ্বেষের অভিযোগ ওঠে পৌরসভার বিরুদ্ধে।

শুধুমাত্র পশ্চিম এশিয়ার দেশসহ চীনেও ভারত মাংস রফতানি করে।

এ বিভাগের আরো খবর